চলুক ভালোবাসা - রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প


গল্পঃ চলুক ভালোবাসা

----হ্যালো
--- বলেন?
মুডি কন্ঠে বলেন শুনেই অনিক উত্তর দিল --না কিছু না।ওপাস থেকে খট করে ফোনটা কেটে দিল মুনিয়া। মনে মনে অনিক ভাবে এত ভাব কেন মেয়েটার।যা রুড,মেয়েরা হবে কোমল স্নিগ্ধ অার এই মেয়ে পুরাই ডেট ওভার তাল মিছ্রির মত।ক্লাশেও একই ব্যাবহার।ভার্সিটির গ্রুপ ডিসকাশনের সময় ও তেমন কথা বলেনা। মনে হয় সিরাজদৌলার বংশধর তাই মুখের বাক্য অযথা ব্যায় করেনা। পরের দিন আবার ফোন দেয় অনিক
---হ্যালো
--- বলেন!
-- ওপস,কিছু না।যেই বলা অমনি ধুম করে ফোনটা কেটে দিল।
অনিক ভাবতে থাকে মুনিয়া কি ইচ্ছে করেই এমন ব্যাবহার করে আমার সাথে নাকি সবার সাথে ই এমন।কৌতহল মিটাতে অন্য নাম্বার থেকে ফোন দেয়, হ্যালো,... একই ঘটনা।এবার মনে মনে ভাবে নাহ এই মেয়ে কে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।পুরাই ডেট ওভার পাবলিক।কিন্তু মন মানেনা প্রতিদিনের মতই আবার ফোন দেয় অনিক।তবে মনে মনে ভাবে অাজ দু একটা কথা শুনাবেই।যা হবে তা পরে দেখা যাবে।
-- হ্যালো
--- বলেন
-- কি মনে করেন নিজেকে? সব ছেলে কি অাপনাকে প্রপোজ করার জন্য ফোন দেয়।অাপনি একটা ফাউল মেয়ে। এত ভাব কিসের! বোবা তো অার না।নাকি........। ( গড়গড়িয়ে কথা গুলো বলতেই থাকে অনিক।) ওপাশে কোন অাওয়াজ নেই।ফোনের লাইনে অাছে কিনা বুঝতে অনিক বলে ওঠে
-- ওহহ হ্যালো।
--- আর কিছু বলবেন? কথাটা শুনে একটু চুপ হয়ে যায় অনিক।
--- নাহ কিছু বলবো না।
বলতেই ও পাস থেকে ফোনটা ধুম করে কেটে দেয় মুনিয়া। মানসিক যন্ত্রনাটা বেড়ে গেলো একটু অনিকের।এমন কেন মেয়েটা।পরের দিন ক্লাশে নরমাল দেখতে পায় মুনিয়াকে।এক পর্যায়ে হালটা ছেড়েই দেয় মুনিয়াকে ফলো করা।বেশ কিছু দিন পরে মুনিয়া হঠাৎ অনিক কে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে, হেই অনিক? রাইট! ০১৭......০৯ নাম্বারটা আপনার, না তোমার।কি ভাবো নিজেকে? পঞ্চাস টাকা গাঁজা খোরদের দিলে আজকাল দুচারটা অনিক কে খুন করা যায়।অামি মুনিয়া, তোমার মত অনিক কে পকেটে নিয়ে ঘুড়ে বেড়াতে পারি।( আরো রূঢ়ভাবে কি কি আবোল তাবোল বলে যাচ্ছে অনিক কে।অনিকের হা হয়ে মুনিয়ার থ্রেট উপভোগ করছে।মনে মনে বলছে রাগলে তো মেয়েদের জটিল লাগে।)। শোন সাহস থাকলে আবার ফোন দিও।বলেই মুনিয়া হেটে গেলো। রাতে অনিকের মাথায় আবার মুনিয়ার খেয়াল চলে অাসে।বেশ কিছু সময় চিন্তা করে। ফোনটা হাতে নিতেই ইচ্ছে হচ্ছিলো ফোন দিয়ে শুনবে মুনিয়ার রিএ্যাকট কেমন হয়।
---হ্যালো
--- বলেন!
-- নাহ কিছু না।
দুম করে ফোনটা কেটে দেয়।
পরের দিন ক্যাম্পাসে মুনিয়া আগের মত ই নরমাল।তবে এখন সামনে পড়লে মাঝে মাঝে অনিককে আড় চোখে দেখে।ইদানিং অভ্যাস হয়ে গেছে অনিকের মুনিয়াকে ফোন দিয়ে- বলেন কথাটা শোনার।কয়েক মাস ধরে ঠিক একই সময় ফোন দেয় মুনিয়াকে।আদিম যুগের ক্যাসেট প্লেয়ারের মত একই ডায়লগ প্রতিদিন মুনিয়া বলে ই যাচ্ছে।সো বোরিং বাট ওলসো ইন্টারেস্টিং অনিকের কাছে।প্রতিদিন ওরা একই ক্যাম্পাসে থাকে কিন্তু মুনিয়া ক্লাশ ছাড়া একটুও বাড়তি সময় দেয়না ক্যাম্পাসে।যেন জাপানের কোন রোবট সুন্দরী।
বেশ কয়েকদিন অনিক ক্যাম্পাসে যায়নি।ফোনও করেনা মুনিয়াকে।মুনিয়া মাঝে মাঝে ফোনের দিকে তাকায় যেন পরিচিত নাম্বারটা স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।কিন্তু তা আর হয় না।একদিন কল করবে ভাবতে ভাবতেই অনিকের নাম্বারে কলটা দিয়েই দিল মুনিয়া।কিন্তু নাম্বার টা বন্ধ পেলো।দুই দিন পরে একটা মেসেজ লিখে অনিকের ফোনে পাঠালো।মেসেজ ডেলিভারী হচ্ছে কিনা তাই তাকিয়ে রইল।চার ঘন্টা পরে মেসেজ ডেলিভারী হল।তড়িঘড়ি করে ফোন দিল অনিকের নাম্বারে।রিং হলো কিন্তু ফোনটা রিসিভ হলো না।ইদানিং মুনিয়া বেশ অস্হিরতায় কাটায়।অজানা একটা অস্হিরতা কোন নাম নেই,ঠিকানা নেই এ অস্হিরতার।ওই দিন অনিককে দেখতে পায় তাড়াহুড়ো করে চলে যাচ্ছে ক্যাম্পাস থেকে। কিছুই বলা হলোনা মুনিয়ার।রাতে ঠিক অনিকের কল করার সময়ে কল দেয় মুনিয়া,
-- হ্যালো,
অন্য প্রান্ত থেকে -- বলেন।
মুনিয়া একটু অপ্রস্তুত হয়ে কলটা কেটে দেয়।মনে মনে ভাবতে থাকে অন্য,কেউ রিসিভ করলো নাতো ফোনটা।নাহ, কন্ঠটাতো চেনা চেনা ছিল।ঘন্টাখানেক পড়ে, এবার যা হয় হবে ফোন করে অনিককেই চাইবো।বলতে বলতে কল দিল মুনিয়া -- হ্যালো, অনিক?
-- বলেন
-- কিছু না।
বলতেই হা হা আওয়াজে হেসে ওঠে অনিক।মুনিয়া কিছুটা লজ্জা পেয়ে যায়,বলে --ঠিক আছে হাসির কিছু নেই, মনে পড়লো তাই কল দিলাম।মেয়েরা কল দিলেই ভেবোনা তোমাকে প্রপোজ করতে কল করেছে।বলেই ফোনটা কেটে দেয় মুনিয়া।কিছুটা নিজেকে ছোট লাগছে নিজের কাছে মুনিয়ার। হেড়ে গেলাম আমি অনিকের কাছে।অপমানিত ও হলাম।কি দরকার ছিল অনিক কে কল দেবার।এমন সময় একটা মেসেজ এলো মুনিয়ার ফোনে।"miss u" ♥। এবার ফোন দিল মুনিয়া, --- হ্যালো
--- বলেন, আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?
--- অনিক,বেশ ফাজলামো হচ্ছে কিন্তু।
-- ম্যাম, একটা কল সেন্টারে পার্ট টাইম চাকরি পেয়েছি তাই ব্যাস্ত ছিলাম।সরি কল করতে পারিনি।
কথাগুলো শুনতে শুনতে মুনিয়া শান্ত শীতল নদী হয়ে গেল।সেদিন ওরা কয়েক ঘন্টা কথা বলেছিল।যেন ওদের কথা ফুরাতে চাইছে না। অতঃপর ভালো থাকুক দুজন দুজনার মিস্টি ভালবাসায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

16 মন্তব্যসমূহ

  1. নতুন নতুন গল্প ও জোকস পেতে ভিজিট করতে পারেন আমার সাইটে
    www.valobasargolpo2.xyz

    উত্তরমুছুন
  2. অনেক ভালো লাগলো ভাই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।

    এসএসসি রেজাল্ট ২০২০ সবার আগে দেখবেন যেভাবে

    দাখিল রেজাল্ট ২০২০ মার্কশিটসহ দেখুন

    উত্তরমুছুন
  3. more love story porte hole ei site teke ghure asun...
    https://bestlovestory2.blogspot.com/

    উত্তরমুছুন
  4. FACEBOOK ফেসবুক মার্কেটিং কি? কিভাবে করবেন ফেসবুক মার্কেটিং?
    https://bestincomeidea.com/what-is-facebook-marketing-and-how-to-do-it/

    উত্তরমুছুন
  5. Dada kichu mone korben na upni valobasar peyechen kina jani na . Kintu ei rokom valobasar amar je koto heye ta amr i mone nai . Emon boudi rao ei amake distab korto . Obosse upnar ei Chhota golpo ti pore amar puro siti jege gelo . Upnar article ti oshadharon dhonobad upnake .

    উত্তরমুছুন
  6. খুব ভালো পোস্ট ও স্টোরি !!! বাংলা ছড়া ও কবিতার জন্য ভিসিট করুন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ....

    উত্তরমুছুন
  7. https://www.banglagolpo22.xyz/2021/10/motivational-short-story-bangla-2021.html

    উত্তরমুছুন